মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

শিশুদের এখন ঠান্ডা-জ্বর-কাশি হচ্ছে, তাই…

শিশুদের এখন ঠান্ডা-জ্বর-কাশি হচ্ছে, তাই…

স্বদেশ ডেস্ক:

শিশুর ঠান্ডা-কাশি হলেই করোনা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হওয়ার মোটেও কারণ নেই। করোনা আসার আগেও শিশুর ঠান্ডা-কাশি হতো। তাই না? বেশিরভাগ ঠান্ডা-জ্বর-কাশিই সাধারণ এবং সাধারণ ঘরোয়া চিকিৎসায় তা ভালো হয়ে যায়। কোনো ওষুধেরই প্রয়োজন পড়ে না।

সাধারণ ঠান্ডা-সর্দি-কাশিতে আপনার শিশুকে আরও বেশি বুকের দুধ খাওয়ান। অন্যান্য খাবার অব্যাহত রাখুন। মধু, তুলসী পাতার রস, আদা চা, লেবুর শরবত/চা, হালকা গরম পানি অল্প অল্প করে খাওয়ান। হাতে-পায়ে সরিষার তেল আর রসুন মালিশ করলে কিছুটা আরাম পেতে পারে। কিন্তু নাক বন্ধ হলে নাকের ফুটোয় সরিষার তেল লাগানো ঠিক নয়। ঠান্ডার সময় স্বভাবতই পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। এতে পানিশূন্যতা হয়ে গলা শুকিয়ে যায় এবং কাশি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই শিশুকে সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করান।

ডিমের সাদা অংশ, গাজর, চিকেন স্যুপও ঠান্ডায় ভালো কাজ করে। শিশুর নাক পরিষ্কার রাখুন। এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হবে এবং খাওয়া বাড়বে। নাক পরিষ্কারের জন্য নরমাল স্যালাইন (লবণ পানি, খাবার স্যালাইন অথবা বাজারে প্রাপ্ত স্যালাইন ড্রপ) ব্যবহার করুন। একটু বড় বাচ্চারা সর্দি-গলা ব্যথা বা শুকনো কাশির জন্য লবণজলে গড়গড়া করতে পারবে। ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে গরম পানিতে মেনথল মিশিয়ে সেই ভ্যাপার নাক-মুখ দিয়ে টানলে বন্ধ নাক দ্রুতই খুলে যাবে। অক্সিমেটাজোলিন বা জাইলোমেটাজলিন নাকের ড্রপও ব্যবহার করতে পারবে। তবে সাধারণ ঠান্ডা-সর্দি-কাশিতে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়াবেন না।

কাশি হলেই কাশির ওষুধ খাওয়াবেন না। মনে রাখবেন, রোগ সাধারণ হোক বা মারাত্মক, যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াবেন, নিজের ইচ্ছামতো কিংবা অন্য কারও পরামর্শে নয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877